প্রকাশিত: Thu, Jun 27, 2024 12:09 PM
আপডেট: Sun, Jun 22, 2025 10:10 AM

[১]খাগড়াছড়ির পাহাড়ে ছদ্মবেশে ২৩ দিন ছিলেন এমপি আনার হত্যার ২ আসামি: ডিবি প্রধান

মাসুদ আলম: [২] ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যার দুই আসামি ফয়সাল সাহাজি ও মুস্তাফিজুর রহমান গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা ছদ্মবেশে খাগড়াছড়ির শীতাকুণ্ডের পাহাড়ের একটি পাতাল মন্দিরে অবস্থান করেছিলেন। সেখান বুধবার অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর  ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের প্রধানের নেতৃত্বে হেলিকপ্টারযোগে দুই আসামিকে নিয়ে সন্ধ্যায় ৩০০ ফিটের পূর্বাচলে ১৮ নম্বর সেক্টরে বঙ্গবন্ধু ট্রাই টাওয়ারে অবতরণ করে। সেখান থেকে তাদের ডিবি কার্যালয় নেওয়া হয়। 

[৩] পূর্বাচলে নামার পর সাংবাদিকদের ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, আনার হত্যায় কলকাতায় যে ৭ জন কিলিং মিশনে অংশ নেন, তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরমধ্যে কলকাতা পুলিশ হেফাজতে আছে কসাই জিহাদ ও সিয়াম। আমাদের কাছে গ্রেপ্তার আছে ৫ জন। এছাড়া আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন গ্যাস বাবু ও  মিন্টু। এনিয়ে   আনার হত্যায় মোট ৯ জন গ্রেপ্তার হয়েছে।  শিমুল ভূঁইয়ার সঙ্গে থেকে ফয়সাল ও মোস্তাফিজ কিলিং মিশনে অংশ নেন। মূল ঘাতক ছিলেন শিমুল ভূঁইয়া। বিভিন্ন জায়গায় পলাতক দুই আসামির অবস্থানের তথ্য পাচ্ছিলাম। অবশেষে মঙ্গলবার জানতে পারি তারা খাগড়াছড়ির গহীন পাহাড়ে রয়েছে। 

[৪] তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তার এড়াতে ফয়সাল ও মুস্তাফিজ নাম পরিবর্তন করে পলাশ রায় ও শিমুল রায় নাম ধারণ করে হিন্দু সেজে সীতাকুণ্ডের পাথাল কালীমন্দীরে ২৩ দিন ছিলেন। আনার হত্যার পর এই দুই আসামি ১৯ মে বাংলাদেশে এসে শাহীনের সঙ্গে কথা বলে। এরপর তাদের দুজনকে মাত্র ৩০ হাজার টাকা দেয়া হয়। তারা বিভিন্নভাবে দেশ থেকে পালানোর চেষ্টা করেছিল। গ্রেপ্তারকৃতরা ট্রাক চালক ছিলো। 

[৫] হারুন বলেন,  যে রুমটিতে সংসদ সদস্য আনারকে হত্যা করা হয়েছে, সেখানে ছিল ফয়সাল ভুঁইয়া। যিনি হত্যার আগে ক্লোরোফম দিয়ে অজ্ঞান করেছিল আনারকে। আর মোস্তাফিজুর রহমান আনারকে চেয়ারে বেঁধে বিবস্ত্র করেছিল, একই সঙ্গে মৃত্যু নিশ্চিত করেছিল। এরপর তাকে বাথরুমে নেওয়া হয়েছিল। সেখানে মূল মাস্টারমাইন্ড শিমুল ভুঁইয়ার সহযোগী হিসেবে ছিল গ্রেপ্তার জিহাদ, আর গ্রেপ্তার ফয়সাল ভুঁইয়া, মোস্তাফিজুর রহমান।

[৬] তিনি আরও বলেন, মাস্টারমাইন্ড আখতারুজ্জামান শাহীনকে গ্রেপ্তার করাই এখন মূল টার্গেট। যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টেলিজেন্সকে চিঠি দেয়া হয়েছে। ভারতের সঙ্গে আমেরিকার চুক্তি রয়েছে, তারাও চেষ্টা করছে ধরার। আমরাও চেষ্টা করছি। আনার হত্যার মাস্টারমাইন্ড, অর্থনীতিভাবে যারা সহযোগিতা করেছে তাদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। 

[৭] এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ডিবির কোনো চাপ আছে কি-না জানতে চাইলে ডিবি প্রধান বলেন, না এখন পর্যন্ত কোনো চাপ নেই। যাদের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট প্রমাণ আছে শুধু তাদের আইনের আওতায় আনছি। কোনো নির্দোষ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হবে না। আবার কোনো দোষী ব্যক্তিকে কেউ চাপ দিয়ে ছাড়াতে পারবে না। সম্পাদনা: এম খান